খাবারের ঘ্রাণাণুগুলো আমাদের নাকের ভেতর দিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছে হাইপোথ্যালামাসে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তখন ক্ষুধার অনুভূতি জাগে। যথেষ্ট পরিমাণ খাওয়া হলে সেই অণুগুলোই আবার খাওয়া বন্ধ করার সংকেত পাঠায় পাকস্থলী থেকে।
অ্যালান হিরশ্ বলছেন, খাবারের স্বাদের অন্তত ৯০ শতাংশই হচ্ছে ঘ্রাণ। যথেষ্ট খাওয়া হয়েছে বলে ভেবে নিয়ে মানুষ ইচ্ছা করলে নিজ মস্তিষ্ককে ধোঁকা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে কম খাওয়া সত্ত্বেও পরিতৃপ্তি পাওয়া সম্ভব। তখন ওজন কমানোটা হবে বাড়তি অর্জন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় হিরশ্ মোট তিন হাজার ১৯৩ জন স্থূলকায় স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ছয় মাসব্যাপী গবেষণা চালান। স্বেচ্ছাসেবীদের সবাইকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় একটি যন্ত্রের (ইনহ্যালেন্ট) সাহায্যে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও ফলমূলের ঘ্রাণ নিতে বলা হয় দিনে তিনবার করে। এতে তাঁদের ওজন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীর ওজন অতিমাত্রায় কমে যাওয়ায় তাঁদের সরিয়ে নিতে হয়েছিল। গবেষণায় প্রধানত মেন্থল, সবুজ আপেল ও কলার ঘ্রাণ ব্যবহার করা হয়। পাঁচ দিনব্যাপী প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর মেন্থলের ঘ্রাণ নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা ছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম। নিউজম্যাক্সহেলথ।
Prothom-alo
0 comments:
Post a Comment