পুরুষ বেশি ব্যথা সয়

এত দিন ধারণা করা হতো, নারীর মানসিক সহ্য ক্ষমতা পুরুষের চেয়ে বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় পুরো উল্টো ধারণা পাওয়া গেছে। মানসিক সহ্য ক্ষমতার পরীক্ষায় নারীকে পেছনে ফেলেছে পুরুষ। আরো জানা গেছে, ধনী দেশের তুলনায় গরিব দেশের পুরুষদের মানসিক সক্ষমতা কয়েকগুণ বেশি। যুক্তরাজ্যের লিডস মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ব্রিটিশ ও লিবীয় ২০০ নারী-পুরুষের ওপর করা এক গবেষণায় এ নতুন তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন।

এমনকি নারীকে গর্ভধারণ ও প্রসবের সময় যে মানসিক চাপ নিতে হয় কর্মক্ষেত্রে পুরুষের এর চেয়েও কয়েকগুণ বেশি চাপ নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি গবেষকদের। গবেষণায় দেখা গেছে, যেকোনো কষ্টকর পরিস্থিতিতে পুরুষ যেখানে চাপ নিতে প্রস্তুত থাকেন, বেশির ভাগ নারী সেখানে অজুহাত খোঁজেন।

ব্যথা বিশেষজ্ঞ ড. ওসামা তাশানি এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। গবেষণায় শারীরিক শক্তিমত্তার সব উপাদান বিবেচনার বাইরে রাখা হয়।

একই গবেষণায় দেখা গেছে, লিবিয়ার পুরুষরা যুক্তরাজ্যের পুরুষদের চেয়ে বেশি কাজের চাপ নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, কোনো কাজ সহ্যের অতিরিক্ত হয়ে গেলে ইউরোপীয়রা যেখানে অভিযোগ জানায় এবং কাজ থেকে অব্যাহতি চায়, লিবীয়রা সেখানে সামর্থ্যের শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে।

তাশানি জানান, এ গবেষণায় চাপ নেওয়ার সঙ্গে জাতিসত্তারও এক ধরনের সংযোগ পাওয়া গেছে। প্রাচ্যের সংস্কৃতি এবং পরিবেশ চাপ সহ্যের অনুকূল বলেও ধারণা করছেন তাঁরা। দুই ধরনের পরীক্ষায় গবেষকরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান। তাঁরা স্বেচ্ছাসেবকদের দুই হাত বেঁধে রক্ত চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে প্রথম পরীক্ষা নেন। পরে সাধারণ কিছু গাণিতিক সমস্যার ওপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। যাঁরা গণিতের সমস্যা সমাধানে বেশি পারদর্শী কর্মক্ষেত্রে তাঁরা দুশ্চিন্তা মোকাবিলায় বেশি কার্যকর।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, নারীদের তুলনায় পুরুষদের অভিযোগের হার কম এবং তাঁদের চাপ সহ্যের ক্ষমতাও বেশি। দেখা যাক, এবার পুরুষের ‘মাসলম্যান’ অভিধার পরিবর্তন হয় কি না। সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন।

কালের কণ্ঠ