বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে এবার বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে লাল-সবুজ পতাকা ওড়ালেন নিশাত মজুমদার। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ১৯ মে শনিবার নেপালের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টায় তিনি ২৯ হাজার ২৯ ফুট (৮,৮৪৮ মিটার) উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের আরেক পর্বতারোহী এম এ মুহিত; তিনি দ্বিতীয়-বারের মতো এভারেস্ট জয় করলেন।
বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে নিশাত মজুমদারের এভারেস্ট জয়ের খবর দেন বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেপালের পেমবা দর্জি শেরপা ফোন করে নিশাত ও মুহিতের এভারেস্ট জয়ের খবর দিয়েছেন।’ নিশাত ও মুহিত দুজনই এ ক্লাবের সদস্য।
গতকাল সন্ধ্যায় কাঠমান্ডুতে পেমবা দর্জি শেরপাকে ফোন করলে তিনি নিশাত মজুমদার এবং এম এ মুহিতের এভারেস্টে আরোহণের খবর নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেপালের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টায় তাঁরা এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ (সামিট) করেছেন। দুজনই নিরাপদে আছেন। তাঁরা এখন (গতকাল সন্ধ্যা) ক্যাম্প-৪-এ ফিরে এসেছেন।’ আজ সকালে তাঁরা বেসক্যাম্পের পথে ফিরে আসা শুরু করবেন। নিশাত মজুমদারের এভারেস্ট জয়ের আনুষ্ঠানিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। নেমে আসার সময় দরকারি কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর তবেই মিলবে এভারেস্ট জয়ের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।
জানা গেছে, আগামী সোমবার নিশাত ও মুহিত এভারেস্টের বেসক্যাম্পে নেমে আসবেন। তাঁরা এভারেস্টের দক্ষিণ দিক দিয়ে (নেপাল অংশ) এই অভিযান চালান। তাঁদের সঙ্গে আছেন মিংমা গ্যালজে শেরপাসহ তিনজন শেরপা। গত ৬ এপ্রিল ঢাকা থেকে নেপালের পথে যাত্রা শুরু করেন নিশাত ও মুহিত। আর এভারেস্ট অভিযান শুরু করেন এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে।
মেয়ের এভারেস্ট জয়ে আবেগাপ্লুত নিশাতের মা আশুরা মজুমদার। তিনি বললেন, ‘এটা খুবই আনন্দের ব্যাপার। ফিরে এলে আরও বেশি আনন্দ হবে।’ নিশাতের বাবা আবদুল মান্নান মজুমদার তাঁর অনুভূতি জানাতে গিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের দোহাই দিয়ে মেয়েদের যে ঘরে বেঁধে রাখার চেষ্টা চলে, নিশাত তা ভেঙে দিল। বাঙালি মেয়েদের জন্য এটা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো।’ পেশায় ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান মজুমদার একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৩ মে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট জয় করেন। দেশের প্রথম নারী হিসেবে নিশাতের এভারেস্ট জয়ে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন। মুসা ইব্রাহীম বলেন, ‘বাংলাদেশের একজন নারী এভারেস্ট জয় করবেন—এ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলো নিশাতের এভারেস্ট জয়ের মাধ্যমে। নিশাত বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের জন্য নতুন একটা দিক খুলে দিলেন।’
পর্বতারোহী এম এ মুহিত এর আগে গত বছরের ২১ মে এভারেস্ট জয় করেন। এবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এভারেস্ট জয় করলেন। এটিও বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্য ঘটনা।
নিশাতের পর্বতারোহণের শুরুটা ২০০৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া কেওক্রাডং জয়ের মাধ্যমে। এই বছর তিনি এভারেস্ট বেসক্যাম্পে যান। ২০০৭ সালে দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে পর্বতারোহণের মৌলিক প্রশিক্ষণ নেন নিশাত মজুমদার। একই বছর তিনি হিমালয় পর্বতমালার মেরা পর্বতশৃঙ্গ (২১,৮৩০ ফুট) জয় করেন। ২০০৮ সালে তিনি সিঙ্গুচুলি (২১,৩২৮) জয় করেন। ২০০৯ সালে তিনি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ মাকালু অভিযানে অংশ নেন। ২০১০ সালে তিনি হিমালয়ের নেপাল-বাংলাদেশ মৈত্রী পর্বতশৃঙ্গ (২০,৫২৮ ফুট) জয় করেন। ২০১১ সালে নিশাত মানাসুলু অভিযানে অংশ নিয়ে ৭,০০০ মিটার পর্যন্ত আরোহন করেন।
নিশাত মজুমদার পরিবারের সদস্য ও কাছের মানুষের কাছে নিশু নামে পরিচিত। ১৯৮১ সালের ৫ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তাঁর জন্ম। দুই বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে নিশাতের অবস্থান দ্বিতীয়। নিশাত মজুমদার ঢাকা ওয়াসার প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দপ্তরে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করছেন।
নিশাত ১৯৯৭ সালে ঢাকার বটমূলী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৯ সালে শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা সিটি কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
নিশাত ও মুহিতের এবারের এভারেস্ট অভিযানে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে প্যারাগন গ্রুপ, প্ল্যান বাংলাদেশ, মাছরাঙা টেলিভিশন, কল্ডওয়েল, পোলার আইসক্রিম, সুইস বেকারি ও আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন।
এদিকে, বর্তমানে এভারেস্ট অভিযানে আছেন বাংলাদেশের আরেক নারী ওয়াসফিয়া নাজরীন। তিনি ক্যাম্প-৩-এ অবস্থান করছেন। তাঁর ফেসবুক পাতা থেকে জানা যায়, তিনি ও তাঁর শেরপারা ক্যাম্প-৩-এ দুর্ঘটনায় পড়েছেন। শুক্রবার সকালে ভয়াবহ তুষারধসে ওয়াসফিয়ার তাঁবু ধসে গেছে। তাঁর দুই শেরপা আহত হয়েছেন এবং একজন নিখোঁজ আছেন। সে কারণে ওয়াসফিয়ার সামিট পুশ (চূড়ার দিকে যাত্রা) বিলম্বিত হয়েছে বলে তিনি ফেসবুকে জানিয়েছেন।
এভারেস্টের চূড়ায় প্রথম বাঙালি নারী শিপ্রা মজুমদার। ২০০৯ সালে তিনি এভারেস্ট জয় করেছিলেন।
অভিনন্দন: বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করায় নিশাত মজুমদারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পৃথক বার্তায় তাঁরা নিশাতকে অভিনন্দিত করেছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান তাঁর বার্তায় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মেধাবী ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিশাত মজুমদার বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে তুলে ধরেছেন, যা অনেক গৌরবের।
খালেদা জিয়া নিশাত মজুমদারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নিশাত তাঁর এ অভিযান জয়ের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন।
নিশাত মজুমদারের এভারেস্ট জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে গতকাল সারা দিন ধরে বিভিন্ন বাংলা ব্লগসাইট এবং ফেসবুকে অসংখ্য অভিনন্দন জানিয়ে অসংখ্য ব্লগ ও স্ট্যাটাস প্রকাশিত হয়েছে। অনলাইন মাধ্যমে গতকাল আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন নিশাত।
বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে নিশাত মজুমদারের এভারেস্ট জয়ের খবর দেন বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেপালের পেমবা দর্জি শেরপা ফোন করে নিশাত ও মুহিতের এভারেস্ট জয়ের খবর দিয়েছেন।’ নিশাত ও মুহিত দুজনই এ ক্লাবের সদস্য।
গতকাল সন্ধ্যায় কাঠমান্ডুতে পেমবা দর্জি শেরপাকে ফোন করলে তিনি নিশাত মজুমদার এবং এম এ মুহিতের এভারেস্টে আরোহণের খবর নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেপালের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টায় তাঁরা এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ (সামিট) করেছেন। দুজনই নিরাপদে আছেন। তাঁরা এখন (গতকাল সন্ধ্যা) ক্যাম্প-৪-এ ফিরে এসেছেন।’ আজ সকালে তাঁরা বেসক্যাম্পের পথে ফিরে আসা শুরু করবেন। নিশাত মজুমদারের এভারেস্ট জয়ের আনুষ্ঠানিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। নেমে আসার সময় দরকারি কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর তবেই মিলবে এভারেস্ট জয়ের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।
জানা গেছে, আগামী সোমবার নিশাত ও মুহিত এভারেস্টের বেসক্যাম্পে নেমে আসবেন। তাঁরা এভারেস্টের দক্ষিণ দিক দিয়ে (নেপাল অংশ) এই অভিযান চালান। তাঁদের সঙ্গে আছেন মিংমা গ্যালজে শেরপাসহ তিনজন শেরপা। গত ৬ এপ্রিল ঢাকা থেকে নেপালের পথে যাত্রা শুরু করেন নিশাত ও মুহিত। আর এভারেস্ট অভিযান শুরু করেন এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে।
মেয়ের এভারেস্ট জয়ে আবেগাপ্লুত নিশাতের মা আশুরা মজুমদার। তিনি বললেন, ‘এটা খুবই আনন্দের ব্যাপার। ফিরে এলে আরও বেশি আনন্দ হবে।’ নিশাতের বাবা আবদুল মান্নান মজুমদার তাঁর অনুভূতি জানাতে গিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের দোহাই দিয়ে মেয়েদের যে ঘরে বেঁধে রাখার চেষ্টা চলে, নিশাত তা ভেঙে দিল। বাঙালি মেয়েদের জন্য এটা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো।’ পেশায় ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান মজুমদার একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৩ মে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট জয় করেন। দেশের প্রথম নারী হিসেবে নিশাতের এভারেস্ট জয়ে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন। মুসা ইব্রাহীম বলেন, ‘বাংলাদেশের একজন নারী এভারেস্ট জয় করবেন—এ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলো নিশাতের এভারেস্ট জয়ের মাধ্যমে। নিশাত বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের জন্য নতুন একটা দিক খুলে দিলেন।’
পর্বতারোহী এম এ মুহিত এর আগে গত বছরের ২১ মে এভারেস্ট জয় করেন। এবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এভারেস্ট জয় করলেন। এটিও বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্য ঘটনা।
নিশাতের পর্বতারোহণের শুরুটা ২০০৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া কেওক্রাডং জয়ের মাধ্যমে। এই বছর তিনি এভারেস্ট বেসক্যাম্পে যান। ২০০৭ সালে দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে পর্বতারোহণের মৌলিক প্রশিক্ষণ নেন নিশাত মজুমদার। একই বছর তিনি হিমালয় পর্বতমালার মেরা পর্বতশৃঙ্গ (২১,৮৩০ ফুট) জয় করেন। ২০০৮ সালে তিনি সিঙ্গুচুলি (২১,৩২৮) জয় করেন। ২০০৯ সালে তিনি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ মাকালু অভিযানে অংশ নেন। ২০১০ সালে তিনি হিমালয়ের নেপাল-বাংলাদেশ মৈত্রী পর্বতশৃঙ্গ (২০,৫২৮ ফুট) জয় করেন। ২০১১ সালে নিশাত মানাসুলু অভিযানে অংশ নিয়ে ৭,০০০ মিটার পর্যন্ত আরোহন করেন।
নিশাত মজুমদার পরিবারের সদস্য ও কাছের মানুষের কাছে নিশু নামে পরিচিত। ১৯৮১ সালের ৫ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তাঁর জন্ম। দুই বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে নিশাতের অবস্থান দ্বিতীয়। নিশাত মজুমদার ঢাকা ওয়াসার প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দপ্তরে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করছেন।
নিশাত ১৯৯৭ সালে ঢাকার বটমূলী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৯ সালে শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা সিটি কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
নিশাত ও মুহিতের এবারের এভারেস্ট অভিযানে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে প্যারাগন গ্রুপ, প্ল্যান বাংলাদেশ, মাছরাঙা টেলিভিশন, কল্ডওয়েল, পোলার আইসক্রিম, সুইস বেকারি ও আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন।
এদিকে, বর্তমানে এভারেস্ট অভিযানে আছেন বাংলাদেশের আরেক নারী ওয়াসফিয়া নাজরীন। তিনি ক্যাম্প-৩-এ অবস্থান করছেন। তাঁর ফেসবুক পাতা থেকে জানা যায়, তিনি ও তাঁর শেরপারা ক্যাম্প-৩-এ দুর্ঘটনায় পড়েছেন। শুক্রবার সকালে ভয়াবহ তুষারধসে ওয়াসফিয়ার তাঁবু ধসে গেছে। তাঁর দুই শেরপা আহত হয়েছেন এবং একজন নিখোঁজ আছেন। সে কারণে ওয়াসফিয়ার সামিট পুশ (চূড়ার দিকে যাত্রা) বিলম্বিত হয়েছে বলে তিনি ফেসবুকে জানিয়েছেন।
এভারেস্টের চূড়ায় প্রথম বাঙালি নারী শিপ্রা মজুমদার। ২০০৯ সালে তিনি এভারেস্ট জয় করেছিলেন।
অভিনন্দন: বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করায় নিশাত মজুমদারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পৃথক বার্তায় তাঁরা নিশাতকে অভিনন্দিত করেছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান তাঁর বার্তায় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মেধাবী ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিশাত মজুমদার বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে তুলে ধরেছেন, যা অনেক গৌরবের।
খালেদা জিয়া নিশাত মজুমদারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নিশাত তাঁর এ অভিযান জয়ের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন।
নিশাত মজুমদারের এভারেস্ট জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে গতকাল সারা দিন ধরে বিভিন্ন বাংলা ব্লগসাইট এবং ফেসবুকে অসংখ্য অভিনন্দন জানিয়ে অসংখ্য ব্লগ ও স্ট্যাটাস প্রকাশিত হয়েছে। অনলাইন মাধ্যমে গতকাল আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন নিশাত।
0 comments:
Post a Comment