চীনা কৃষকের এই অদ্ভুত কীর্তিটি নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সে সময় পর্যন্ত প্রতিটি সাত ডলার মূল্যে প্রায় ১৮ হাজার বুদ্ধ-সদৃশ নাশপাতি তিনি বিক্রি করে ফেলেছিলেন। ভিন্ন ধরনের এই ব্যবসায়িক উদ্যোগটিতে সাফল্য পেলেও শুরুর দিকে সবাই কিন্তু পাগলই ভেবেছিল জিয়ানজাংকে। প্রথম দিককার কথা স্মরণ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘মানুষ আমাকে পাগল ভেবেছিল। তারা বলেছিল, আমি বাতিকগ্রস্ত আর গাছে শিশু-সদৃশ ফল ফলানো কোনোভাবেই সম্ভব না। তারা বলেছিল, আমি শুধু অর্থ আর সময়ই নষ্ট করছি।’ সবাই যে ভুল ছিল, সেটা তো জিয়ানজাং প্রমাণই করে দিয়েছেন।
২০০৩ সালে, সুপার মার্কেটগুলোতে বিভিন্ন জিনিসের আকারে জেলি বিক্রি করতে দেখে গাছের ফলকেও এ ধরনের আদল দেওয়ার চিন্তাটা মাথায় আসে জিয়ানজাংয়ের। তারপর নিরলস শ্রম ও গবেষণার মাধ্যমে তিনি তাঁর নাশপাতি বাগানের ফলগুলোকে শিশু-বুদ্ধের আদলে উত্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন। ২০১০ সালের জন্য প্রায় ৭০-৮০ হাজার ফলের অর্ডার পেয়েছিলেন এই চীনা কৃষক। তবে এখন তিনি শুধু এখানেই থেমে যেতে রাজি নন। ভবিষ্যতে তাঁর এই বিচিত্র ফলগুলো বিদেশেও রপ্তানির আশা রাখেন জিয়ানজাং। আর তাঁর ফলগুলোকেও তিনি দিতে চান নতুন রূপ। ভবিষ্যতে নিজের বাগানে, বাইবেলের বিভিন্ন চরিত্র ও বিখ্যাত অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের আদলে ফল ফলানোর স্বপ্নও আছে তাঁর।—রয়টার্স। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment