অক্সফোর্ড ও সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের একটি দল ‘হারিয়ে যাওয়া পৃথিবী’ আবিষ্কারের দাবি করেছে। প্লোস বায়োলোজি সাময়িকীতে তাদের এ আবিষ্কারের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, সাগরের তলদেশে কাঁকড়া, অক্টোপাস ও তারামাছের নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। সাগরের আট হাজার ফুট তলদেশে গাঢ় অন্ধকারে প্রাণীর অস্তিত্ব টিকে থাকা প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা জানান, সাগরের নিচে আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ওই আগ্নেয়গিরি থেকে মাঝেমধ্যে কালো ধোঁয়া বের হয়। ওই ধোঁয়া ৩৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা সাগরের এত নিচে এসব প্রাণীর বেঁচে থাকার মতো উষ্ণতা বজায় রাখে। প্রাণীগুলো অন্ধকারেই বেঁচে থাকে। বেঁচে থাকার মতো শক্তিও পায় আগ্নেয়গিরি থেকে বের হওয়া গ্যাস থেকে। বিজ্ঞানীদের মতে, গ্যাসের মাধ্যমে অনেক রাসায়নিক পদার্থ বের হয়, যা প্রাণীগুলোর জন্য ইতিবাচক পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়ক।
বিজ্ঞানীরা জানান, তাঁরা সাগরের তলদেশে দুই ডজন নতুন প্রজাতির কাঁকড়ার সন্ধান পেয়েছেন। এসব কাঁকড়া দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৬ সেন্টিমিটার। সাধারণ কাঁকড়ার সঙ্গে এর পার্থক্য হলো—এই কাঁকড়ার বুকে একজাতীয় চুল রয়েছে। বিজ্ঞানীরা নতুন এক প্রজাতির অক্টোপাস দেখেছেন বলেও দাবি করেন। তবে ওই অক্টোপাস ধরতে পারেননি তাঁরা। বিজ্ঞানীরা জানান, সেখানে শামুকজাতীয় প্রাণী, তারামাছ ও নলের মতো দেহবিশিষ্ট কর্ষিকাযুক্ত এক ধরনের প্রাণীও দেখা গেছে। এই প্রাণীগুলো শনাক্ত করতে বিজ্ঞানীরা ‘রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকল’ ব্যবহার করেন।
বিজ্ঞানী দলের প্রধান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালেক্স রজার্স বলেন, ‘আমরা এমন কিছু প্রাণীসত্তার সন্ধান পেয়েছি, যা এই গ্রহে আগে কখনোই দেখা যায়নি। মাত্র আট সপ্তাহের ব্যবধানে সাগরের তলদেশ সম্পর্কে আমাদের জানাশোনার অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত, সেখানে আরও কিছু প্রাণীর সন্ধান মিলবে।’ পিটিআই অনলাইন। প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment