বৃহস্পতিবার রাতে আব্দুল হাই নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনি চম্পাতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বই কিনে আনছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এই ঘটনায় চম্পাতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহ নেওয়াজ আলী, রফিকুল ইসলাম ও দপ্তরী অরবিন্দকেও আসামি করে রাতেই বদরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক।
সরকারি বই কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে করা এই মামলায় ক্রেতা আব্দুল হাইকেও আসামি করা হয়েছে। তবে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতা সইদার রহমানকে আসামি না করায় জনতার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বদরগঞ্জ থানার ওসি তোবারক আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে স্কুল ছুটির পর সহকারী শিক্ষক শাহ নেওয়াজ আলী বিপুল সংখ্যক বই কালোবাজারে বিক্রি করে দেন।
“সেই বই বস্তায় ভরে রিকশাভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় টের পেয়ে যায় এলাকার কিছু সংখ্যক যুবক। তারা স্থানীয় চম্পাতলী বাজারে বই বোঝাই রিকশাভ্যানসহ ক্রেতা আব্দুল হাইকে আটক করে।”
খবর পেয়ে শাহ নেওয়াজ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাকে আটকালেও তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। পরে বই বোঝাই রিকশাভ্যানসহ ক্রেতা হাইকে ইউএনও কার্যালয়ের পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
শিক্ষক শাহ নেওয়াজ টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্কুলের জায়গা খালি করতে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশেই তিনি বইগুলো বাজারে বিক্রি করেন।
তবে প্রধান শিক্ষক সইদার রহমান বলেন, “স্কুলের জায়গা খালি করতে ওই শিক্ষককে বইগুলো আমার বাসায় পাঠিয়ে দিতে বলেছিলাম, বাজারে বিক্রির জন্য নয়।”
বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের পর বইগুলো বেঁচে যায় বলে তিনি জানান। নিয়ম অনুযায়ী তা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ফেরত পাঠানো উচিত ছিলো বলেও স্বীকার করেন তিনি।
মামলার বাদি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষকও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নন।
তাহলে তাকে কেন আসামি করা হয়নি- জানতে চাওয়া হলে উত্তর না দিয়ে টেলিফোন সংযোগ কেটে দেন জহুরুল।
ওসি তোবারক আলী সরকার জানান, ১১ টাকা কেজি দরে ২৯৫ কেজি বই বিক্রির চেষ্টা হচ্ছিলো।
অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রধান শিক্ষককে কেন আসামি করা হয়নি- জানতে চাইলে ওসি বলেন, বাদি তাকে অভিযুক্ত করেননি।
তবে তদন্তে প্রধান শিক্ষকের নাম এলে তাকেও আসামি করা হবে বলে ওসি জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment