‘কেপলার-২২বি’ গ্রহটিতে যে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা যে প্রবল। এর আগেও একাধিক বার ব্রহ্মাণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক নতুন গ্রহ আবিষ্কার হয়েছে। তাতে প্রাণ থাকার সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু পরে তা নিয়ে আর কোনো কথা শুনতে পাওয়া যায়নি। এবার তাই কোনো বিতর্কের অবকাশ রাখতে চাইছে না নাসা। রীতিমতো আটঘাট বেঁধে আসরে নেমেছে তারা।
তা হলে ‘কেপলার-২২বি’ নিয়ে এত উৎসাহ কেন? নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গ্রহটির অবস্থান আর বাইরের পৃষ্ঠের উষ্ণতা ওই ‘কেপলার-২২বি’-কে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। পৃথিবী থেকে সূর্যের যা দূরত্ব অনেকটা সে রকমই দূরত্ব ‘কেপলার-২২বি’ আর সেটি যে নক্ষত্রকে ঘিরে ঘুরছে তার মধ্যে। ওই নক্ষত্রটিকে ঘিরে পুরে এক পাক ঘুরতে গ্রহটির সময় লাগে ২৯০ দিন যা অনেকটাই পৃথিবীর কাছাকাছি। এর বাইরের পৃষ্ঠের উষ্ণতা আনুমানিক ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৭২ ডিগ্রি ফারেনহাইট! পৃথিবীর সঙ্গে এত সাদৃশ্য থাকায় শুধু পানি বা বায়ুমণ্ডল নয় সেই সঙ্গে গ্রহটিতে প্রাণ থাকারও সম্ভাবনা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী বিজ্ঞানীমহল। তাদের এই গবেষণা বিজ্ঞান পত্রিকা ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল’-এ প্রকাশিত হতে চলেছে।
তবে পৃথিবীর থেকে আড়াই গুণ বড় ‘কেপলার-২২বি’ গ্রহটি কঠিন, গ্যাসীয় না তরল তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত নাসার বিজ্ঞানীরা। ‘সান হোস স্টেট ইউনিভারসিটির’ জ্যোতির্বিজ্ঞানী নাটালি বাটাল্লা নাসার এই ‘কেপলার’ অভিযানের অন্যতম গবেষক।
কিন্তু আরও তথ্য জানতে এই গ্রহে কোনও মহাকাশযান পাঠানোর চিন্তাভাবনা নাসা করতে পারছে না। কারণ পৃথিবীতে আবিষ্কৃত এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে গতিসম্পন্ন মহাকাশযানেরও ওই গ্রহে পৌঁছতে সময় লেগে যাবে প্রায় দু’ কোটি কুড়ি লক্ষ বছর। এতে অবশ্য দমে যেতে রাজি নয় নাসা। ২০১২-র নভেম্বর পর্যন্ত কাজ করবে কেপলার। তত দিনে ওই গ্রহ নিয়ে আরও অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারা যাবে বলে মনে করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
ছ’টি ঋতুর পুরনো পৃথিবী না ‘চির বসন্তের’ নতুন ‘কেপলার-২২বি’ কোনটি মানুষের ভবিষ্যতের ঠিকানা হতে পারে, বিজ্ঞানীদের কর্মপন্থা আর সময়েই হয়তো লুকিয়ে তার উত্তর। সূত্র: ওয়েবসাইট।
0 comments:
Post a Comment