জরিপে অংশ নেওয়া এক শতাংশ নারী বলেছেন, তাঁরা গত এক বছরের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। জরিপে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে বছরে ১৩ লাখ নারী ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের শিকার হন।
জরিপে পুরুষদের প্রতি পীড়নেরও ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সাতজন পুরুষের মধ্যে একজন স্বজন কর্তৃক পীড়নের শিকার। প্রতি ৭১ জন পুরুষের মধ্যে একজন যৌন নিপীড়নের শিকার। জরিপে অংশগ্রহণকারী পীড়নের শিকার পুরুষদের অধিকাংশই ১১ বছর বয়সের আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
পীড়নের শিকার যুক্তরাষ্ট্রের এসব নারী-পুরুষের মধ্যে স্বাস্থ্যগত বিপর্যয় লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। নারীদের মধ্যে যাঁরা পীড়নের শিকার তাঁদের মধ্যে হাঁপানি, ডায়াবেটিস, মানসিক অসুস্থতাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার হার বেশি। এসব নারী-পুরুষ ক্রমাগত মাথাব্যথা, নিদ্রাহীনতা ও কাজকর্মে অনীহায় ভোগেন।
‘ফিউচার উইদাউট ভায়োল্যান্স’ নামে মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিচালক লিসা জেমস বলেছেন, পীড়নের শিকার নারী-পুরুষেরা জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সহিংস দাম্পত্য জীবনে নারীদের মধ্যে ধূমপানের মাত্রা বেশি।
মার্কিন সরকারের জরিপে দেখা গেছে, অল্প বয়সীরাই বেশি যৌন পীড়নের শিকার হচ্ছে। পীড়নের শিকারদের মধ্যে ২৮ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছে, ১০ বছর বয়সের আগেই তারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। নারীদের বেলায় তা ১২ শতাংশ। পীড়নের শিকারদের মধ্যে অর্ধেক ১৮ বছর বয়সে এবং ৮০ শতাংশ ২৫ বছর বয়সের আগেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
ধর্ষণের শিকার নারীদের মধ্যে যাঁরা অল্প বয়সে পীড়নের শিকার হয়েছেন তাঁদের ৩৫ শতাংশ পূর্ণ বয়স্ক হওয়ার পর পুনরায় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর পরিচালক লিনডা ডিগাটিস বলেছেন, ‘নারীদের যৌন পীড়নের শিকারসংক্রান্ত প্রাপ্ত তথ্য রীতিমতো ভয়াবহ। এ চিত্র আমাদের অনেকেরই ধারণার বাইরে।’
টেলিফোনে চালানো এই জরিপে নয় হাজার ৬৮ জন নারী ও সাত হাজার ৪২১ জন পুরুষ অংশ নেন। প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment