সম্প্রতি নরওয়ের কয়েকজন গবেষক বাচ্চাদের বুদ্ধিমত্তা বাড়ার উপায় বাতলে দিয়েছেন। গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, বাচ্চারা স্কুলে বেশি সময় কাটালে তাদের বুদ্ধি বাড়তে পারে।
বিবিসি জানায়, ওই গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু বেশি সময় শ্রেণীকক্ষে থাকে, তাদের বুদ্ধি অন্যদের চেয়ে চারগুণ বেশি হতে পারে।
গবেষকেরা বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠার আগেই এসব শিশুর আইকিউতে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে দেখা যায়। কিন্তু গবেষকেরা বলতে পারছেন না, বিষয়টি কি কেবল তাঁদের গবেষণাভুক্ত শিক্ষার্থীদের বেলায় হয়েছে, নাকি তা সব শিক্ষার্থীর জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। তবে তাঁরা বলেছেন, এটা প্রমাণিত যে বেশি বুদ্ধির সঙ্গে উচ্চশিক্ষার সম্পর্ক রয়েছে।
অবশ্য স্কুলে বেশি সময় কাটালেই যে শিশু শিক্ষার্থীদের বুদ্ধি বাড়বে, এটা সব সময় নাও হতে পারে। কারণ স্বাভাবিকভাবেই বেশি বুদ্ধিমান শিশুশিক্ষার্থীরা বেশি সময় ধরে স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশে থাকতে চায়।
‘স্ট্যাটেসটিকস নরওয়ে’র প্রকাশিত সরকারি তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা নরওয়ের শিক্ষাব্যবস্থার বিষয়ে কাজ করেন। এর পাশাপাশি এক লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীদের ওপর বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার প্রভাব কেমন, তা-ও পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা।
১৯৫৫ থেকে ১৯৭২ সাল—এই ১৭ বছর সময়কালে নরওয়েতে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে পড়ার সময়সীমা সাত থেকে বাড়িয়ে নয় বছর করা হয়। সে জন্য শিক্ষার্থীরা ১৪ বছরের পরিবর্তে ১৬ বছর বয়সে স্কুলের পড়া শেষ করে। এই শিক্ষার্থীদের বয়স ১৯ বছর হলে তাঁদের বুদ্ধির (আইকিউ) পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত বলে ঘোষণা করে সেনাবাহিনী।
গবেষকেরা বলেন, সে সময়ে স্পষ্টভাবে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের গড়পরতা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে শিক্ষার হারও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। তাঁরা বলেন, এক বছর অতিরিক্ত সময় স্কুলে কাটালে শিক্ষার্থীদের আইকিউ ৩ দশমিক ৭ গুণ বেড়ে যায়। তাঁরা আরও বলেন, এই গবেষণার মাধ্যমে এটা বের হয়ে এসেছে যে নরওয়ের মানুষের ওপর স্কুলে বেশি সময় থাকার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, সেটা তাদের আইকিউ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে।
তবে পরিসংখ্যানবিদেরা বলেন, স্কুলে বেশি থাকলে শিক্ষার্থীদের আইকিউ বাড়বে—এই বিষয়টা কেবল নরওয়েতে প্রযোজ্য হতে পারে। অবশ্য তাঁরা দাবি করেন, এতে করে শিক্ষার্থীদের আইকিউর উন্নতি ঘটতে পারে। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment