সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
নিরামিষভোজী হওয়া সকলের জন্য কেন এত জরুরি?
সামনে আছে এক বাটি ধোঁয়া ওঠা গোশতের ভুনা,
আর এক বাটি নিরামিষ। অবশ্যই সবার আগে হাত যাবে গোশতের বাটির দিকে। এত
সুস্বাদু গোশতের ভুনা রেখে কে খাবে রসহীন নিরামিষ? সবার মনে এই প্রশ্নটা
আসাটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু
যারা নিরামিষের বাটিটি বেছে নিবে, তারা ওই গোশত ভুনা প্রেমীদের চেয়ে
লাভবান হবে অনেক বেশি। কিন্তু, কিভাবে এবং কেন হবেন নিরামিষভোজী?
আসুন জেনে নেয়া যাক বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্নের উত্তরে কি বলেন-
বিশেষজ্ঞরা
জানিয়েছেন, অন্তত এক সপ্তাহের জন্যও যদি নিরামিষভোজী হওয়া যায়, তাহলে
স্বাস্থ্যের যে লাভ হবে তা অন্য কোনো খাবার কিংবা ওষুধে হবে না।
ডি-টক্সিফাইড: একজন
নিরামিষভোজী, যাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন যথেষ্ট ফাইবার সম্পন্ন সবজি
যেমন-লাউ, মিষ্টি কুমড়া, সবুজ শাক, বাধাকপি ইত্যাদি থাকে তাদের দেহের
ক্ষতিকর দেহকোষ গুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এই সবজিগুলো দেহের সব বিষাক্ত
উপাদান বাইরে বের করে দেয়। ডিম, মাছ এবং মাংসে এই ফাইবার কম থাকে বলে,
এগুলো দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণে খুব বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে
পারে না।
হাড়কে শক্ত করা: মাংসভোজী ব্যক্তিদের নিয়মিত খাদ্য
তালিকায় সবজি খুব সামন্য পরিমাণে থাকে। কিন্তু মাংসে আছে প্রচুর প্রোটিন
এবং সবজিতে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্ত করে। কিন্তু দেহে
প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে এবং সেই তুলনায় ক্যালসিয়াম কমে গেলে,
ক্যালসিয়াম তার কাজ করতে পারে না। যার ফলে দেহের অতিরিক্ত প্রোটিন শুষে নেয়
ক্যালসিয়ামকে। যা হাড়ের ক্ষতি করে। তাই পুরোপুরি নিরামিষভোজী হওয়া না
গেলেও, অন্তত দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় গোশত এবং সবজির একটা আদর্শ ভারসাম্য
বজায় রাখতে হবে।
কার্বোহাইড্রেট ঘাটতিপূরণ: একজন
মাংসভোজীর খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি থাকে।
যা আমাদের কেটসিস’এ আক্রান্ত করতে পারে। কেটসিস হলো দেহে অতিরিক্ত চর্বি
বেড়ে যাওয়ার ফলে শক্তির ঘাটতি এবং ক্লান্তির সৃষ্টি হওয়া। কিন্তু, খাদ্য
তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ সবজির উপস্থিতি এই কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি পূরণ
করতে পারে।
পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ করা:
সবজিতে এমন সব উপাদান আছে যা দেহের পরিপাক ক্রিয়াকে সহজ করে। কিন্তু গোশত
এবং মাছে প্রচুর পরিমাণে চর্বি এবং তেল থাকায় তা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে
জটিল করে তোলে।
সুন্দর ত্বক:
বিট, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া এবং করলা নিয়মিত খেলে ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর
হয়ে যায়। অন্যদিকে, পেয়ারা, আপেল, নাশপাতি ত্বকে এনে দেয় আকর্ষনীয়
উজ্জ্বলতা।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন
বাড়তে না দেয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, গোশত না খাওয়া। আর ওজন কমানো এবং
নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নিরামিষভোজী হয়ে যাওয়া। গমের রুটি, শিম,
মটরসুঁটি, বাদাম এবং বিভিন্ন রঙিন ফল দেহের কোলেস্টেরেলের মাত্রা কমায়,
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্থূলতা থেকে মুক্তি দেয়।
স্বস্তিতে থাকে দাঁত:
আমাদের পেষণ দাঁতের কাজ হলো খাবার চিবিয়ে তা হজমের জন্য সালিভায় পাঠানো।
কিন্তু পেষণ দাঁত দিয়ে পেষণ বা চিবানোর কাজ না করে যখন টেনে গোশত ছেড়ার
কাজে ব্যবহার করা হয়, তা দাঁতে এক ধরনের চাপের সৃষ্টি করে। অন্যদিকে
সালিভাতে গিয়েও হজম প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি করে জটিলতার। কিন্তু সবজি সেদিক থেকে
দাঁত এবং সালিভা, দুটোকেই স্বস্তি দেয়।
ফিটোনিউট্রিয়েন্টস:
ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, কিডনির রোগ, হৃদরোগ এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করা যায়
পর্যাপ্ত পরিমাণের ফিটোনিউট্রিয়েন্টস গ্রহণের মাধ্যমে। এই
ফিটোনিউট্রিয়েন্টস হলো এক ধরনের স্বাস্থ্যকরী উপাদান যা শুধু সবুজ
শাক-সবজিতেই পাওয়া যায় এবং এটি দেহে গ্লুকোজ ও রঞ্জক পদার্থের জন্য উপকারী।
বার্তা২৪ ডটনেট
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
খাদ্য ও পানীয়,
গবেষনা,
নিরামিষ ভোজন,
স্বাস্থ্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- অসাধারন এবং বিরল কিছু মেঘের ছবি
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- স্বাস্থ্যকর জীবনরীতি – নিরামিষ ভোজন
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- রাজপথের দীর্ঘ আলপনা
- কেন তাঁরা চিরকুমার
- ঋণের চক্রে আত্মহননের মিছিল
Popular Posts Last 7 Days
- অসাধারন এবং বিরল কিছু মেঘের ছবি
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- স্বাস্থ্যকর জীবনরীতি – নিরামিষ ভোজন
- ঘোড়ার সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব নয় হাজার বছরের!
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- সাহারা মরুভূমির জানা-অজানা
- কেন তাঁরা চিরকুমার
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment