কচ্ছু রোগ হচ্ছে প্রদাহযুক্ত এক ধরনের অসংক্রামক চর্মরোগ। এ রোগের লক্ষণ হচ্ছে, শরীরের ত্বকে লাল আঁশালো দাগ পড়ে যাওয়া। গবেষকেরা ৪৫ লাখ রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে এ ধরনের রোগীদের স্ট্রোক ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকির সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন। গবেষণা প্রতিবেদনটি ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল-এ প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, শরীরের ত্বক ও রক্তনালির উৎস একই ধরনের ‘ইনফ্লেমেশন’ থেকে। সে কারণেই এমনটি হতে পারে। তবে স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন এই বলে আশ্বস্ত করেছে, খুব তাড়াতাড়ি এটি নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
গবেষকদের মতে, মানবদেহের ত্বকের কোষগুলো স্বভাবতই তিন থেকে চার সপ্তাহ অন্তর পরিবর্তন হয়। কিন্তু কচ্ছু রোগীর ত্বকে সে প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত হয়। এমনকি এ ধরনের রোগীদের ত্বকের বহির্ভাগে মাত্র দুই থেকে ছয় দিনের মধ্যেই প্রদাহযুক্ত লাল ফোসকার কঠিন আবরণ পড়ে যায়। যুক্তরাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই শতাংশেরই এ ধরনের সমস্যা রয়েছে। তবে এর কারণ এখনো অজ্ঞাত।
গবেষকেরা ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ডেনমার্কে এক সমীক্ষা চালান। তাঁরা ৩৬ হাজার ৭৬৫ জন মধ্য মাত্রার ও দুই হাজার ৭৯৩ জন তীব্র মাত্রার কচ্ছু রোগে আক্রান্ত রোগীর তথ্য সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তাঁদের এই গবেষণায় দেখা গেছে, ৫০ বছরের কম বয়সী মধ্যম মাত্রার কচ্ছু রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের অস্বাভাবিকতাজনিত ঝুঁকি ৫০ শতাংশ এবং হূৎপিণ্ডে রক্ত চলাচলে জটিলতাজনিত স্ট্রোকের ঝুঁকি ৯৭ শতাংশ বেড়ে যায়। আর যাঁরা উচ্চমাত্রার কচ্ছু রোগী, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি যথাক্রমে ১৯৮ ও ১৮০ শতাংশ। বিবিসি
0 comments:
Post a Comment