যে তিনটি জিনিস সব সময় সঙ্গে রাখি—
কলম, টর্চ ও ছাতা।
এভারেস্ট চূড়ায় পা রাখার পরমুহূর্তের অনুভূতি—
মনে হলো, আমি বিশ্ব জয় করলাম। সারা বিশ্বে আমি বাংলাদেশকে তুলে ধরলাম।
প্রথম পর্বত অভিযান—
২০০৭ সালের মে মাসে। নেপালের অন্নপূর্ণার চুলু পর্বতে।
প্রিয় পর্বতারোহী—
ইতালিয়ান পর্বতারোহী রেইনহোল্ড মেজনার।
এভারেস্টে ওঠার জন্য যে তিনটি গুণ জরুরি—
সবার আগে মানসিক শক্তি। এরপর দরকার পাহাড়ে ওঠার প্রশিক্ষণ এবং সর্বশেষ শারীরিক যোগ্যতা।
প্রিয় উক্তি—
লক্ষ্য অর্জনে সব সময় সৎ পথে থাকতে হবে।
এভারেস্টে ওঠার পর সবার আগে মনে পড়ছিল যাঁর মুখ—
বিএমটিসির সভাপতি ইনাম আল হক। তিনি আমার গুরু। তিনি আমাকে নতুন জন্ম দিয়েছেন। ১৯৭০ সালে আমার জন্ম। কিন্তু ১৯৯৭ সালে ইনাম আল হকের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর আমার নতুন জন্ম। তিনি জানেন একজন মানুষের কোন গুণ আছে, সেটি কীভাবে বের করে আনতে হয়।
পাহাড়ে ওঠার বাইরে অন্য দুঃসাহসী কাজ—
আমি বার্ড ওয়াচিং করি। পাখি দেখার জন্য বনেবাদাড়ে ঘুরে বেড়াই।
এভারেস্টে ওঠার পথে সবচেয়ে বড় বাধা—
মানসিক দুর্বলতা। মানসিক দুর্বলতা থাকলে অর্থাৎ কারও যদি প্রচণ্ড মানসিক শক্তি না থাকে তার পক্ষে এভারেস্ট জয় করা অসম্ভব।
বাংলাদেশের যে দিকটি বদলে দিতে চাই—
আমি বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে বদলে দিতে চাই। আমি চাই তারা কোনো খারাপ কাজ করবে না। মাদক থেকে বেরিয়ে আসবে।
যে স্বপ্ন প্রায়ই দেখি—
প্রায়ই স্বপ্ন দেখি এ দেশের মানুষ আচার-আচরণে মার্জিত হবে এবং সব সময় সৎ থাকবে।
বেড়ানোর প্রিয় জায়গা—
বাংলাদেশের বান্দরবান।
প্রিয় পর্বতশৃঙ্গ আমা দাবলাম। এটি নেপালের একটি পর্বত।
গেলবারের অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর ভেবেছি—
গত বছরের মে মাসে অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পরও আমি কিন্তু কখনো বসে ছিলাম না। অক্টোবরে বাংলাদেশের ছয়জন এবং নেপালের সাত সদস্যের যৌথ দল মিলে আমরা একটি চূড়া জয় করি। এটির নাম এখন বাংলাদেশ-নেপাল মৈত্রী চূড়া। আমার ইচ্ছে, যত দিন শক্তি থাকবে পাহাড়ে উঠে যাব।
সাক্ষাৎকার: শরিফুল হাসান
0 comments:
Post a Comment