কোকাকোলা
কোকাকোলার সঠিক প্রস্তুত প্রণালি আজও এক রহস্যের আঁধারে ঢাকা। ১৮৮৬ সালে জন পেম্বারটন নামের এক ফার্মাসিস্ট এই কোমল পানীয় তৈরি করেন। তবে তাঁর এই প্রণালি প্রকাশ করা হয়নি।
কোকাকোলার প্রতিষ্ঠান এই পানীয়র সঠিক প্রস্তুত প্রণালির একটি মাত্র লিখিত কপি সংরক্ষণ করে আসছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় একটি ব্যাংকের ভল্টে রয়েছে। কেউ যাতে কপিটি না পায়, এ জন্য ওই ভল্ট ২৪ ঘণ্টা পাহারা দেওয়া হয়।
ওই কপি ছাড়া কোম্পানির দুজন মাত্র কর্মী কোকাকোলার মূল প্রস্তুত প্রণালি জানেন। অর্থাৎ, যুগে যুগে কেবল দুজন করে কর্মীর মাধ্যমে প্রণালিটি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এভাবে টানা ১২৫ বছর ধরে কঠোরভাবে সংরক্ষণের পর কোকাকোলার প্রস্তুত প্রণালি ফাঁস হওয়ার খবরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ওয়েবসাইটের দাবি, ১৯৭৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আটলান্টা জার্নাল কনস্টিটিউশন-এর ২৮ পৃষ্ঠায় একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এতে একটি আলোকচিত্র ছাপা হয়। ওই সময় লেখাটি ঢাকঢোল পিটিয়ে ছাপা হয়নি বলে এর গুরুত্বও কেউ অনুধাবন করেনি। আলোকচিত্রে এমন সব উপকরণের বর্ণনা ও পরিমাণ রয়েছে, যা কোকাকোলার আবিষ্কারক জন পেম্বারটনের কোকাকোলার প্রস্তুত প্রণালির অনুলিপি। প্রস্তুত প্রণালির লেখাটি পেম্বারটনের এক বন্ধুর বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে এটি বিভিন্ন হাত ঘুরে পত্রিকায় চলে আসে।
কোকাকোলার গোপন মূল উপাদানটি হচ্ছে ‘ম্যার্চেন্ডাইজ সেভেন এক্স’। এটি তৈরি করতে যেসব উপকরণ লাগে, সঠিক পরিমাণসহ এসবের বর্ণনা আলোকচিত্রে দেওয়া তালিকায় রয়েছে বলে দাবি করে ওয়েবসাইটটি। ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ গ্যালন সিরাপে দুই আউন্স পরিমাণ মার্চেন্ডাইজ সেভেন এক্স যোগ করে কোকাকোলা তৈরি করা হয়। সিরাপ তৈরি করতে লাগে কোকার তরল নির্যাস, সাইট্রিক এসিড, ক্যাফেইন, চিনি, পানি, লেবুর রস, ভ্যানিলা ও ক্যারামেল। আর ‘মার্চেন্ডাইজ সেভেন এক্স’ তৈরিতে লাগে আট আউন্স অ্যালকোহল, ২০ ফোঁটা কমলার নির্যাস, ৩০ ফোঁটা লেবুর নির্যাস, ১০ ফোঁটা জায়ফলের নির্যাস, পাঁচ ফোঁটা ধনের নির্যাস ও ১০ ফোঁটা দারুচিনির নির্যাস। ডেইলি মেইল, অরেঞ্জ অনলাইন।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো..
0 comments:
Post a Comment