গবেষকদের দাবি, ১ এক হাজার ৩৮০ বছরে ঘড়িটির সময় কেবল এক সেকেন্ড কম-বেশি হতে পারে। গবেষণার ফল প্রকাশিত হবে ‘দ্য জার্নাল মেট্রোলজিয়া’তে ।
এনপিএলের সিএস এফ-২ নামের ওই ঘড়িটি সিজিয়াম ফাউন্টেন ধাতুতে তৈরি আণবিক ঘড়ি। স্পিন নামের সিজিয়াম ধাতুর অণুতে তৈরি পেন্ডুলামটিই সঠিক সময় বলে দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণে সারাবিশ্বে ৩০০টিরও বেশি ঘড়ি ব্যবহার করা হয়। সেগুলো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্যারিসে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অফ ওয়েটস অ্যান্ড মেজারস (বিআইপিএম) কেন্দ্রে পাঠানোর পর সেখানে গড় করা হয়। কিন্তু এভাবে সময় ঠিক করার ক্ষেত্রেও আশংকা রয়েছে। তাই তাই বিআইপিএম বিশ্বব্যাপী ছয়টি ‘প্রাইমারি ফ্রিকোয়েন্সি স্ট্যান্ডার্ডসের সেকেন্ডকে মানের বিচারে তুলনা করে থাকে। এ ছয়টির মধ্যে যুক্তরাজ্যের সিএস এফ-২, ফ্রান্সের দুটি এবং যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও জাপানের একটি করে রয়েছে। ওই ছয়টি প্রাইমারি ফ্রিকোয়েন্সি স্ট্যান্ডার্ডস’ ব্যবহার করে বিআইপিএম সেই ভুলগুলো সংশোধন করে থাকে।
গবেষকরা বলছেন, ২০১০ সালের ডেটা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের আণবিক ঘড়িটিই দীর্ঘ মেয়াদে সবচেয়ে সঠিক সময় দিতে পারে।
গবেষক ড. সায়মানিক জানিয়েছেন, ‘যুক্তরাজ্যের এ ঘড়িটিই নিখুঁত সময় দেয় বলে যুক্তিতর্কের জন্য এ তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না, বরং উন্নত মান নিশ্চিত করতে পারলেই উন্নত প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটবে।’
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/
0 comments:
Post a Comment