থেমে নেই বিজ্ঞান
সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
হাসি আর কান্না চেপে রাখবেন না
মন খুব খারাপ? সোজা খোলা একটি মাঠে চলে যান। প্রাণ খুলে এক পশলা কেঁদে নিন। কি, খোলা মাঠ নেই? তাহলে বাথরুমে ঢুকে পড়ুন; শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে ইচ্ছেমতো কেঁদে নিন কিছুক্ষণ। মন হাল্কা হয়ে যাবে, একশভাগ গ্যারান্টি। ভুলেও তাই কান্না চেপে রাখতে যাবেন না যেন। হাসির বিষয়টিও না। ভীষণ আনন্দের উপলক্ষ্য এসেছে; অথচ পাশেই রাশভারী কোনো মুরব্বী। মন খুলে হাসতেও পারছেন না। এটা কিন্তু ঠিক না। জীবনে হাসি আর কান্না কোনোটাই চেপে রাখা ঠিক না।
শুনতে একটু অদ্ভূত লাগলেও একথা সত্যি যে আমাদের জীবনে কান্নার খুবই প্রয়োজন। আর আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় একই জায়গা থেকেই কান্না ও হাসি দু’টিরই অনুভূতি আসে। হাসি ঠিক যেভাবে রক্তচাপ কমায়, শরীরকে ঝরঝরে ও তরতাজা রাখে, কান্নাও ঠিক তাই করে। নিউরোসাইকোলজিস্ট, সম্প্রতি গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে কান্না মানসিক চাপ কমায়। গবেষণায় দেখা যায় যে ৮৫ ভাগ নারী ও ৭৩ ভাগ পুরুষ কান্নার পর ভাল বোধ করছেন, তাদের মানসিক চাপ কমে যাচ্ছে। শুধু শারীরিকভাবে ভাল বোধ করাই নয়, কান্নার ফলে কিন্তু পরিবেশ বদলে যায়; তা খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই। আপনার আশেপাশের রাগতঃ স্বভাবের লোকজন আর গরম পরিবেশ কিন্তু বদলে যাচ্ছে নিমিশেই। লোকজন আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল হচ্ছে, আর আপনার বন্ধু আপনার দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অনেক সময় আমরা বুঝতেই পারি না যে আমাদের মন খারাপ হয়ে আছে, বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। হঠাৎ হয়তো কেঁদে ফেলার পর তা প্রকাশ পায়। নিজের মনের অনুভূতি তখন বুঝতে পারি নিজেই। মনের দুঃখের অনুভূতি প্রকাশ না করে থাকা অর্থাৎ না কেঁদে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ ব্যাপার। গবেষণায় দেখা গেছে, এতে করে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন, কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। দুঃখিত হয়েও না কান্না করাটা ডিপ্রেশান বা বিষণ্নতার একটি প্রধান লক্ষণ। আর আমরা কতটা কাঁদতে পারি তা ঠিক করে আমাদের জিন। আবার নারী-পুরুষের মাঝেও কিছু ভিন্নতা আছে। পুরুষের তুলনায় নারী চারগুণ বেশি কাঁদে। তবে কান্নার পরিমানটা এখানে বিষয় নয়।
কান্না পেলে কান্না করাটাই ভাল। কাঁদলে মন হাল্কা হয়’ সেই পুরনো কথাই আবার প্রমাণ করলেন নিউরো সাইকোলজিস্টগণ। সুস্বাস্থ্যের জন্য, মানসিক চাপ পরিহার করতে, কর্মদক্ষতা বাড়াতে তাই হাসির পাশাপাশি প্রয়োজনে কান্নাকাটিরও দরকার আছে বৈকি। কান্না পেলে কাঁদবেন, কারো সামনে নাহোক অন্তত আড়ালে!
একদল গবেষক ডাক্তারদের গবেষণায় উঠে এসেছে, আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় একই জায়গা থেকে কান্না ও হাঁসির অনুভূতি আসে। হাসি যেভাবে রক্তচাপ কমায়, শরীরকে ঝরঝরে ও তরতাজা রাখে কান্নাও তাই করে।
নিউরো সাইকোলজিস্টদের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখাগেছে কান্না মানসিক চাপ কমায়। তারা আরও দেখেছেন, প্রচণ্ড দুঃখে না কাঁদা স্বাস্থ্যের জন্য তা খারাপ ফল বয়ে এনেছে।
হাসার ব্যাপারে অবশ্য সহযোগি পাবেন হাটে-মাঠে-ঘাটে। কিন্তু কান্নার জন্য কাউকে কিন্তু পাশে পাবেন না। যেমনটা প্রয়াত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, ”তুমি হাসলে সবাই তোমার সাথে হাসবে, কিন্তু তুমি কাঁদলে কেউ তোমার সাথে কাঁদবে না। মানুষকে কাঁদতে হয় একা একা।” হা, আড্ডায় হাসাহাসি হয়, আনন্দ ভাগাভাগি হয়। কিন্তু কান্না কি ভাগাভাগি হয় কখনো? না। এ কারণে ঘাবড়ে যাওয়ারও দরকার নেই। ওই যে বললাম, খোলা মাঠ কিংবা বাথরুম পদ্ধতি। যে কোনোটা অনুসরন করুন। কারণ জীবনতো আপনারই। তাকে সাজিয়ে তুলতে হবে আপনাকেই।
থেমে নেই বিজ্ঞান
হাসি-কান্নার ক্ষেত্রে একটা সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। কথায় আছে, সব ভাল-ই বেশি ভাল না। হাসবেন তো সেটা যেন আবার বেশি মাত্রায় না হয়ে যায়। কান্নার বিষয়টাও সেভাবে খেয়ালযোগ্য। মাত্রাতিরিক্ত হাসি-কান্না হিতে বিপরীত ফল আনতে পারে। হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাবার পর অসংখ্য মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছেন, আবার কাঁদতে কাঁদতে অনেকে জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সারাবিশ্বেই এমন নজীর আছে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই ২০ লক্ষাধিক আমেরিকান এমন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের অনেকে এখনো হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। এহেন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) নতুন একটি বড়ির অনুমোদন দিয়েছে। এর নাম ন্যুডেক্সটা (Nuedexta)। এটি সেবনের ফলে হাসি এবং কান্না নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
অর্থাৎ হাসবেন কিন্তু হার্ট অথবা মস্তিষ্কে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। কাঁদলেও হার্টে কোনো সমস্যা হবে না। সুতরাং মন ভার করে থাকা আর নয়, হাসি আর কান্না যা-ই আসুক আসতে দিন। দুঃখের বর্জ্য ভাসিয়ে দিন কান্না কিংবা হাসির বানে। ভাল থাকুন।
বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
গবেষনা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- EARN MONEY ONLINE
- 10 Surprising Facts About Headaches
- গীতা সারাংশ
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
Popular Posts Last 7 Days
- সখি ও কাশফুল - আকাশনীল
- জেনে নিন ২০১৭ সাল আপনার জন্য কি সৌভাগ্য নিয়ে আসছে!
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
- 10 Surprising Facts About Headaches
- EARN MONEY ONLINE
- গীতা সারাংশ
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment