২০১০ সালের ডিসেম্বরে নাসার গবেষকরা জানিয়েছিলেন, প্রায় ১৭৪০ কোটি কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে ভয়েজার ১ সৌরমণ্ডলের কিনারে অবস্থান করছে। কয়েক বছরের মধ্যেই সৌরজগত অতিক্রম করে অসীমের পথে যাত্রা শুরু করবে এই নভোযানটি।
১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ভয়েজার ১ যাত্রা শুরু করে। এরপর ওই বছরেরই ২০ আগস্ট রওনা হয় ভয়েজার ২। ভয়েজার ১ এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিলো বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন গ্রহগুলোর বাইরের দিকটি পর্যবেক্ষণ করা। ১৯৮৯ সালেই সেই কাজ শেষ করেন গবেষকরা। তারপর তারা নভোযানটিকে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের দিকে পাঠিয়ে দেন। এর রেডিওঅ্যাকটিভ পাওয়ার এবং পর্যবেক্ষণ যন্ত্রপাতি ঠিকমতোই কাজ করেছে এবং পৃথিবীতে ডেটা পাঠিয়েছে। দীর্ঘ ৩৪ বছর পর এটি সৌরজগত ছেড়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন ডেটা বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জানিয়েছেন, ভয়েজার এখন আন্তর্নাক্ষত্রিক লাফ দেবার জন্য তৈরি হচ্ছে। আন্তর্নাক্ষত্রিক লাফ দেবার অর্থ হলো বিভিন্ন নক্ষত্র এবং তাদের ঘিরে থাকা সৌরজগতের মধ্যকার শূণ্যস্থানের মধ্যে দিয়ে পথ পাড়ি দেওয়া।
ভয়েজারের কম শক্তির চার্জিত কণার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে। এটি সৌরঝড়ের গতি মাপতে পারে। দীর্ঘ দূরুত্ব অতিক্রম করে ভয়েজারের পাঠানো রেডিওঅ্যাকটিভ সংকেত পৃথিবীতে পৌঁছাতে ১৬ ঘন্টা সময় লাগে।
আন্তর্নাক্ষত্রিক লাফ দেবার পর ভয়েজার থেকে আর সংকেত পাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে গবেষকরা এখনো কিছু জানাননি।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম
0 comments:
Post a Comment