শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যশোর জিলা স্কুলের ফল ঘোষণা করেন।
বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন শিক্ষা মন্ত্রী।
এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৮ দশমিক ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী।
বিদেশের ৭ কেন্দ্রে ৯৮ দশমিক ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৪২ জন।
জেএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ৮৩৮ জন। আর জেডিসিতে এই সংখ্যা ১০১৪ জন। বিদেশের কেন্দ্রগুলোতে ৩৩ শিক্ষার্র্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে।
এবার মোট ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪৭ পরীক্ষার্থী অষ্টম শ্রেণী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। যাদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৮ লাখ ৩৭ হাজার ১৭২ জন এবং ছাত্রী ৯ লাখ ৬২ হাজার ৭৭৫ জন। উত্তীর্ণ ১৫ লাখ ৬ হাজার ৭৮৩ জনের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১২ হাজার ১৮৯ জন; আর ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৪ জন ছাত্রী।
গত বছর জেএসসিতে ৭১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং জেডিসিতে ৮১ দশমিক ০৩ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। জিপিএ ৫ পেয়েছিল মোট ৮ হাজার ৫৫৬ জন।
গত বছর ১৫ লাখ ৫ হাজার ৩৯১ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। আর গত ১ থেকে ২১ নভেম্বর সারা দেশে দুই হাজার ৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৮ লাখ ৬১ হাজার ১১৩ জন।
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল বিকালে শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd), সব পরীক্ষা কেন্দ্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোর ই-মেইলে প্রকাশ করা হবে।
এছাড়া টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এসএমএসের মাধ্যমে জেএসসির ফল পেতে JSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন হরফ এবং এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
জেডিসির ফল পেতে JDC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন হরফ এবং এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১০ সাল থেকে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ১ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে দুই হাজার ৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা হয়।
এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম পত্র, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র ও গণিত ছাড়া সব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে সৃজনশীল প্রশ্নে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গত বছরের মতো এবারো জেএসসি ও জেডিসিতে তিন বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্যরা নবম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে তাদের পরবর্তীতে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অবশ্যই পাস করতে হবে।
এবার পরীক্ষায় প্রতিবন্ধীদের জন্য ২০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। দৃৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং শারীরিক কারণে যারা লিখতে পারে না, তাদের শ্র“তি লেখকের মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/
0 comments:
Post a Comment