গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এই নতুন গ্রহের আবিষ্কারের কথা জানায়। নাসার কেপলার টেলিস্কোপে গ্রহটির সন্ধান মেলে। ২০০৯ সাল থেকে নাসা নতুন নতুন গ্রহের সন্ধানের কাজ শুরু করে। কেপলার টেলিস্কোপে প্রাণী বসবাসের উপযোগী নতুন কোনো গ্রহ আবিষ্কারের বিষয়টি এই প্রথম নিশ্চিত করা হলো।
গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। ৫ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মাইলে এক আলোকবর্ষ। গ্রহটিতে পৌঁছাতে একটি মহাকাশযানের সময় লাগতে পারে প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ বছর। তবে পরবর্তী গ্রীষ্মের মধ্যে জ্যোতির্বিদরা গ্রহটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে ‘গোল্ডিলকস জোন’ বা বসবাসযোগ্য স্থান নামে পরিচিত অঞ্চলে গ্রহটির সন্ধান পাওয়া গেছে। যেখানে খুব শীতও নয়, আবার খুব গরমও নয়। আবার পানি জমে বরফ হয় না বা গরমে বাষ্পও হয় না।
সৌরজগতের বাইরে নতুন গ্রহের সন্ধানকারী দলের অগ্রদূত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওফ মার্সি বলেন, ‘মানবজাতির ইতিহাসে এটি একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার। মানুষ মহাবিশ্বে নিজেদের অবস্থান বাড়াতে নতুন গ্রহের সন্ধান করে। আমরা সে পথেই এগোচ্ছি।’
নতুন গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে ২ দশমিক ৪ গুণ বড় হতে পারে। সম্ভবত সেখানে পানি ও পাথর থাকতে পারে।
কেপলারের ডেপুটি সায়েন্স চিপ নাটালি বাটালা বলেন, ‘এ ধরনের গ্রহের অস্তিত্বের বিষয়টি সত্যি আনন্দের।’ কেপলারের প্রধান অনুসন্ধানকারী বিল বরোকি বলেন, ‘এটি একটি বড় পুরস্কার। এটিকে আমরা ‘ক্রিসমাস গ্রহ’ হিসেবে বিবেচনা করতে পারি।’ এএফপি। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment