লবণে মস্তিষ্ক বিকৃতি!

 

বিজ্ঞাপনের কল্যাণে এত দিন আমরা জেনে এসেছি ‘লবণ খেলে মাথা খোলে’। কিন্তু এই লবণের প্রভাবেই কখনো কখনো বন্ধ হয়ে যেতে পারে আপনার মস্তিষ্কের জানালা। ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় যারা অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করে তাদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা নিয়ে এসেছেন কানাডার চিকিৎসকরা। সম্প্রতি এক গবেষণা শেষে তাঁরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত লবণ মানুষের মস্তিষ্ক ও হার্টকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর সঙ্গে মস্তিষ্ক বিকৃতির রোগ ডেমেনসিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক ডা. আলেকজান্ড্রা ফিকু জানান, যারা দিনে অন্তত এক চা চামচ পরিমাণ লবণ গ্রহণ করে, একটা বয়সে এসে তাদের অধিকাংশের মস্তিষ্কেই বিভ্রম বা বিকৃতি ঘটে। একপর্যায়ে তারা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তিন বছর ধরে তাঁরা আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী ৬৭ থেকে ৮৪ বছর বয়সী এক হাজার ২৬২ জন নারী-পুরুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য দেন।
গবেষকরা জানান, অতিরিক্ত লবণ শুধু মস্তিষ্কেরই বিকৃতি ঘটায় না, মানুষের হৃদযন্ত্রকেও দুর্বল করে দেয়। এ ধরনের ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও থাকে বেশি।

গবেষণায় দেখা গেছে, আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করেনি কিংবা একটা বয়সে এসে লবণ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে তারা চিকিৎসার পর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছে। লবণ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্কদের মস্তিষ্কের বিকৃতিজনিত পরিবর্তন লক্ষ করেছেন চিকিৎসকরা।

সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্যারল গ্রিনউড সতর্ক করে দিয়ে বলেন, লবণের উপকারিতাও অনেক। তবে তা পরিমিত হতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের যতটা সম্ভব কম লবণ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক সর্বোচ্চ তিন গ্রাম বা চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ লবণ খাওয়ার সীমারেখা দেন গ্রিনউড। পাশাপাশি নিয়মিত কাঁচা লবণ না খাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। সূত্র : মেইল অনলাইন।

কালের কন্ঠ