আলো এক প্রকার শক্তি। সূর্য আলোর সবচেয়ে বড় উত্স। সূর্য থেকে আলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার আকারে ঢেউ খেলে খেলে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছুটে চলে। ঢেউগুলোর বিস্তারকে বলে তরঙ্গদৈর্ঘ্য। প্রত্যেক প্রকার আলো বা রঙের নিজস্ব তরঙ্গদৈর্ঘ্য রয়েছে। সবগুলো আলো বা রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে একসঙ্গে বলে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম। এই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম-এর একদিকে আছে আল্ট্রাভায়োলেট আলোকরশ্মি আর অন্যদিকে ইনফ্রারেড রশ্মি। এই রশ্মিগুলো আমরা দেখতে পাই না। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম-এর এই দুই ধরনের রশ্মির মাঝখানে আছে আমরা দেখতে পাই এরূপ আলোকরশ্মিগুলো। এই অংশটুকুতেই আমরা দেখতে পাই বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা আর লাল রং। এক পশলা বৃষ্টির পর সূর্যের উল্টাদিকে রংধনুতে এসব রং স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য ২৮০ থেকে ৪০০ ন্যানোমিটার। এক ন্যানোমিটার খুবই ছোট, এক মিলিমিটারের ১০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ মাত্র। ইনফ্রারেড রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৭০০ ন্যানোমিটারের চেয়ে বেশি। আর আমরা যে রং বা আলো দেখতে পাই, সেগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৪০০ খেকে ৭০০ ন্যানোমিটারের মধ্যে। এরমধ্যে বেগুনি রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০ ন্যানোমিটার। এরপর নীলের প্রায় ৪৪৫, আসমানির ৪৭৫, সবুজের ৫১০, হলুদের ৫৭০, কমলার ৫৯০, আর লাল রঙের প্রায় ৬৫০ ন্যানোমিটার।
বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ
কমিউনিটি বেজড্ মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ।
0 comments:
Post a Comment