দাঁত না ওঠার অর্থ এই নয় যে এগুলো ওখানে নেই। গর্ভকালীন দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সময়ে দাঁত গঠিত হতে শুরু করে। জন্মের সময়ে শিশুর মাড়িতে ২০ প্রাইমারি দন্ত থাকে তার অনেকগুলো চোয়ালে পরিপূর্ণভাবে গজিয়ে যায়। সুতরাং প্রথম দন্ত কৌমুদী প্রস্ফুটনের আগে শিশুর দাঁতের পরিচর্যা করা উত্তম।
শিশুকে খাওয়ানোর পরে পরিচ্ছন্ন জলে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার করা যায়। এতে ব্যাকটেরিয়া ওখানে জমাট বাঁধতে পারে না। আর যখনই কয়েকটা দাঁত মুকুলিত হবে তখনই দিনশেষে নরম টুথব্রাশ কিংবা গজ পিস দিয়ে তা পরিষ্কার রাখা যায়।
শিশুর দাঁতের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় শুধু দৈনিক দাঁত ব্রাশ করাটাই যথেষ্ট। শিশুকে যে জলপান করানো হয় সে জলে যদি স্বাভাবিক মাত্রায় ফ্লুরাইড থাকে তবে তা শিশু দন্ত বিকাশে এবং দাঁতে ক্ষয়রোগ রোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
যেন ‘জুস-ই জীবন’ অনেক বাচ্চার মধ্যে এরূপ তাড়না দেখা যায়। অনেক মা-বাবা, অভিভাবক এ নিয়ে তেমন গা করেন না। ফ্রুট জুইসের সুগার দাঁতের এনামেল খেয়ে নেয়, বিশেষত যেসব শিশু সারা দিন বা ঘুমোতে যাওয়ার আগে বোতলে, কাপে নিরবধি জুস পান করে চলেছে। গবেষণার তথ্য—শিশুর দাঁতে কেরিজ তৈরি হয় তখন যখন বেশি সময় ধরে জুস দাঁতের চারপাশে প্রবাহিত হয়। দুধভর্তি ফিডার ধরিয়ে যেসব মা বাচ্চাকে ঘুমিয়ে দেন সে ক্ষেত্রে এমন ফলাফল ঘটে।
সে কারণে শিশু বয়সে জুস ড্রিংকস ও অন্যান্য সুগার পানীয় নিয়ন্ত্রণে রেখে খাওয়ানো উচিত। কখনো বোতল বা ফিডার মুখে দিয়ে শিশুকে ঘুম পাড়ানোর কৌশল অবলম্বন না করা।
তৃতীয়ত শিশুর সঠিক দাঁতের যত্নে প্রথম বছর পুরোলে দন্তবিশেষজ্ঞের পরামর্শ চেয়ে নেওয়া।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment