৪. শসা শরীরের প্রতিদিনকার ভিটামিনের চাহিদার এক বিশাল অংশ পূরণ করে থাকে। ভিটামিন এ, বি এবং সি কোনটি নেই এই সবজিটিতে। শসা শরীরেরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। শরীরের শক্তি বাড়াতেও এর কোন জুরি নেই। পালং শাক আর গাজরের সঙ্গে শসার রস মিশ্রিত করে সব্জি তৈরি করলে তা শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান রাখে। শসার বাকলকে অবহেলা করে ফেলে দিবেন না। কেননা, শরীরের ভিটামিন সি-এর প্রতিদিনকার চাহিদার ১২ শতাংশ কেবল এই বাকলেই রয়েছে।
সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
শসার যত গুণ
খাবারের মেন্যু সব সাজানো, আর হাতে যদি থাকে একটি সবুজ শসা কেমন হবে? নিশ্চিত খাবারের মানটি ভালো হয়ে যাবে। কেন খাবেন শসা? এ নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন। চলুন জেনে নেয়া যাক শসা খাওয়ার গুরুত্ব।
১. পানি খাওয়ার সময় নেই? নো প্রবলেম, একটি তাজা, ঠান্ডা শসা খেয়ে ফেলতে পারেন। পানির কাজ হয়ে যাবে ৯০ ভাগ পর্যন্ত।
২. আপনার শরীরের ভেতরটা হঠাৎ গরম হয়ে গেলে ঠান্ডা করার জন্যে একটি শসাই যথেষ্ট। শসা আপনার চামড়াকে সূর্যের তাপদাহ থেকে রক্ষা করে।
৩. শসা শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থগুলো অপসারণে সহায়তা করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনির পাথরও অপসারণ হয়ে যায়।
৪. শসা শরীরের প্রতিদিনকার ভিটামিনের চাহিদার এক বিশাল অংশ পূরণ করে থাকে। ভিটামিন এ, বি এবং সি কোনটি নেই এই সবজিটিতে। শসা শরীরেরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। শরীরের শক্তি বাড়াতেও এর কোন জুরি নেই। পালং শাক আর গাজরের সঙ্গে শসার রস মিশ্রিত করে সব্জি তৈরি করলে তা শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান রাখে। শসার বাকলকে অবহেলা করে ফেলে দিবেন না। কেননা, শরীরের ভিটামিন সি-এর প্রতিদিনকার চাহিদার ১২ শতাংশ কেবল এই বাকলেই রয়েছে।
৫. স্পা করতে শসার কোন জুরি নেই। কেননা, শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন। এ কারণেই বিউটি পার্লারগুলোতে শসার ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে।
৬. খাবার হজম করতে শসার ব্যাপক অবদান রয়েছে। এছাড়া, শরীরের ওজন কমানো নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন তারা নিয়মিত শসা খেতে পারেন। শসাকে স্যুপ ও সালাদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। শসা আপনার চোয়ালের শক্তি বাড়াবে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকায় তা কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।
৭. শসা চোখের জ্বালাপোড়া দূর করতেও কাজে লাগে। ধূমপানের ফলে ধোঁয়াটে চোখ ও চোখের নিচে কালি পড়া দূর করে। কেননা, শসাতে রয়েছে এন্টি ইনফ্লেটরি প্রপার্টিজ (এক ধরনের জ্বালা-পোড়া দূরকারী উপাদান)।
৮. আরো আছে চমক। আপাত দৃষ্টিতে সস্তা শসা ভয়াবহ ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাজ করে। শসাতে রয়েছে সিকোইসুলারিসিরেজিনল, লারিসিরেজিনল ও পিনোরেজিনল নামক তিনটি উপাদান। এই উপাদানগুলো কয়েক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যাপক কাজ করে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ও জরায়ুর ক্যান্সার।
৯. ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ কমাতে শসার অবদান ব্যাপক। শসা খেলে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া, শরীরের কোলেস্টেরল দূর করতে শসা কাজে দেয়। শসাতে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই তিনটি উপাদান উচ্চরক্তচাপ ও নিম্নরক্তচাপ উভয়টিই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
১০. মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও শসা কাজে লাগতে পারে। রোগাক্রান্ত মাড়ির জন্যে শসা খুবই উপকারী। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে, তারা একটি শসা টুকরা আধা মিনিট ধরে মুখে গুজে রাখতে পারেন এবং জিহ্বা দিয়ে তা চাপ দিতে থাকুন, মুখ একদম ফ্রেশ হয়ে যাবে। শসা মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
১১. চুল ও নখের সৌন্দর্য বাড়াতেও শসা সহায়তা করে থাকে। শসার রস চুলকে করে সিল্কি আর শক্ত; নখ হয় সতেজ আর উজ্জ্বল।
১২. শসাতে বিদ্যমান সিলিকা শরীরের সংযোগ স্থাপনকারী কোষগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শসার সাথে যদি একটু গাজরের রস মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে তার আপনার গ্যেটে বাত দূর করবে।
১৩. মাথা ব্যথা দূর করতে শসা খেলে উপকারিতা পাবেন। তাছাড়া, মদ যদি একটু বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে একটা শসা খেতে পারেন, মাথা ধরা থেমে যাবে।
১৪. কিডনিকে সচল রাখতে শসার অবদান ব্যাপক। কিডনি যারা সচল রাখতে চান, তারা নিয়মিত শসা খেতে পারেন। সূত্র: ওয়েবসাইট
নতুন বার্তা
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill

Labels:
খাদ্য ও পানীয়,
গবেষনা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- চোখের পানির রহস্য
- বাউলদের সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- The rose And Thorns
- মস্তিস্ক গবেষনায় নতুন তথ্য
Popular Posts Last 7 Days
- গীতা সারাংশ
- The rose And Thorns
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ৩৮ শতাংশ ইউরোপীয় মনোরোগী
- বৌদ্ধ ধর্মগুরু বনভান্তে আর নেই
- (no title)
- The Poorest Country in America
- যুক্তরাষ্ট্রে তিনজনের একজন ঘুমের মধ্যে হাঁটেন!
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- জাঙ্কফুড কিংবা সিগারেট আবিষ্কারের আগেও ছিল হৃদরোগ!
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment