পুরুষরা অন্তর্মুখী

বেশির ভাগ পুরুষ তাদের মনের সব কথা বা নিজের কোনো গুরুতর সমস্যার কথা সব সময় বান্ধবী বা তার জীবনসঙ্গীকেও মুখ খুলে বলে না। আর এ অভ্যাসের চর্চা তারা শৈশব থেকে শুরু করে। কোনো কোনো সমস্যা নিজের মনে পুষে রাখার ফলে পুরুষরা তাদের জীবনে কিছুটা অস্বস্তিকর মুহূর্ত কাটাতে বাধ্য হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নারী তাদের সমস্যার কথাগুলো মুখ খুলে জীবনসঙ্গী বা বান্ধবীকে বলে ফেলে। এর ফলে নারীরা জীবনে অনেকটা নির্ভার থাকতে পারে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক তাঁদের গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ পুরুষ তাদের আবেগ-অনুভূতি বা সমস্যার কথা অন্যের সঙ্গে বিনিময় করতে অনিচ্ছুক। তাদের বেশির ভাগই মনে করে, অন্যের সঙ্গে নিজের আবেগ-অনুভূতি বা সমস্যার কথা শেয়ার করা অর্থহীন। কিন্তু বেশির ভাগ নারী তা মনে করে না।

তারা মনে করে, মন খুলে অন্যের সঙ্গে নিজের আবেগ-অনুভূতি বা সমস্যার কথা শেয়ার করলে মানসিকভাবে স্বস্তি পাওয়া যায়। ছেলেমেয়ের শৈশবে শুরু হওয়া এ অভ্যাস তাদের সারাজীবন অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টির ক্ষেত্রে কাজ করে বলে দাবি করছেন গবেষকরা।

মিসৌরি ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. অ্যামান্ডা রৌজের নেতৃত্বে এ গবেষণা চলে। তিনি জানান, প্রায় দুই হাজার শিশু ও তরুণ-তরুণীর ওপর এ গবেষণা চালানো হয়েছে।

ড. অ্যামান্ডা বলেন, একজন জনপ্রিয় মনোবিজ্ঞানীর দ্বারা ওই সব ছেলেমেয়েকে তাদের ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এতে দেখা গেছে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা অনেক কম সমস্যার বিষয়ে মুখ খুলেছে। নিজের সমস্যা অন্য জেনে গেলে লজ্জায় পড়তে হবে_এই সামাজিকতার ভয়ে অনেক ছেলেতার সমস্যা চেপে রাখে। এমনকি যৌনজীবনের কোনো সমস্যা বিষয়ে পুরুষদের তুলনায় নারীরা অন্যের সঙ্গে বেশি শেয়ার করে থাকে।

গবেষণায় অভিভাবকদের উদ্দেশে বলা হয়, শৈশবেই ছেলেমেয়েকে অভ্যাস করানো দরকার যে, তারা যেন নিজের সমস্যা বা আবেগময় কোনো কথা মনে চেপে না রেখে মুখ খুলে বলে ফেলে। এ গবেষণা প্রতিবেদন চাইল্ড জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন।

কালের কন্ঠ