বিশ্বের সবচেয়ে হিংসুটে মানুষ অস্ট্রেলীয়রা আর খাদক হলো মার্কিনিরা

একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বিশ্বের এক নম্বর অনাচারের দেশ এখন অস্ট্রেলিয়া, যে দেশের মাটিতে জন্মেছে ক্রিকেট কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, সংগীত তারকা কাইলি মিনোগের মতো প্রতিভাবান মানুষ। এখন তারা বিশ্বের সবচেয়ে অনাচারী দেশের নাগরিক। একদল ব্রিটিশ গবেষক এ গবেষণাটি করেছেন। বিবিসির ফোকাস ম্যাগাজিনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যৌন কামনা, লোভ, অতিভোজন, আলস্য, রাগ, ঈর্ষা এবং গর্ব। এ সাতটি বিষয়ের ওপর জরিপ করে এ তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ানদের হিংসা সবচেয়ে পাপী দেশের তালিকার শীর্ষে নিয়ে গেছে তাদের। অতিভোজনের কোঠায় এক নম্বরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যৌন কামনা-বাসনার জন্য শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। গর্ব এবং আলস্যের জন্য আইসল্যান্ড এক নম্বরে রয়েছে। আর লোভী দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে মেক্সিকো। মানুষ খারাপ হয় তার চারিত্রিক কারণে।

এজন্য এ সাত ধরনের পাপের সামাজিক তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কোন জাতির রাগ বেশি তা জানার জন্য প্রতি ১ হাজার মানুষের মধ্যে খুন, ধর্ষণ ও অপরাধের প্রবণতার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপর ভিন্ন ভিন্ন দেশের সঙ্গে তার তুলনা করে তালিকা করা হয়েছে। কোন জাতি বেশি অলস তা বের করার জন্য শ্রমিকের কাজের সময়ের তুলনা করা হয়েছে। গর্ববোধ কেমন তা জানার জন্য জাতির মাথাপিছু প্লাস্টিক সার্জারির হারের তুলনা করা হয়েছে। অতিভোজনের বিষয়টি জানার জন্য কোনো জাতি ক্যালরি-রিচ ফার্স্ট ফুডের জন্য মাথাপিছু বেশি ব্যয় করে তার তুলনা করা হয়েছে। আর ডাকাতি, গাড়ি চুরির পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে কোন জাতি বেশি হিংসুক তা বের করা হয়েছে। এরপর প্রতি শ্রেণীর পাপের জন্য ১০ পয়েন্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতি পয়েন্ট প্রদান করা হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ৪৬ পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ৩২ এবং কানাডা ২৪। পয়েন্ট বেশি পাওয়া লাভ নয় বরং যেন কাল হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার জন্য।