মুহাম্মদ ইউনূসের রাজনীতিতে প্রবেশকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার ক্ষমতা বলয় ভাঙার উপায় হিসেবে দেখেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। উইকিলিকসের ফাঁস করা একটি কূটনৈতিক তার বার্তায় বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য।
ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক হিন্দুতে প্রকাশিত ওই বার্তা থেকে জানা গেছে, রাজনীতিতে প্রবেশের সময় ইউনূস ধারণা করেছিলেন যে, তিনি দুই নেত্রীর বাজে প্রতিক্রিয়ার শিকার হতে পারেন। ২০০৭ সালের ১৩ ফেব্র"য়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কলকাতা কনস্যুলেট থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো এক গোপন বার্তায় এ সব কথা বলেন কনস্যুলার জেনারেল হেনরি জারদাইন। এর মাত্র দুদিন আগে জরুরি অবস্থার মধ্যে শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেন। 'নাগরিক শক্তি' নামের রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি কলকাতা সফরে যান। ১১-১২ ফেব্র"য়ারি কলকাতা চেম্বার অব কমার্সের (সিসিসি) ১৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন গ্রামীণ ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সফরে কলকাতা চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে জারদাইন ও ইউনূসের মধ্যে আলোচনার খুঁটিনাটি তুলে ধরা হয়েছে এই তার বার্তায়। এতে বলা হয়, ওই ভোজসভায় ইউনূসের রাজনৈতিক পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চান হেনরি জারদাইন। জবাবে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইউনূস ঝুঁকি আঁচ করতে পারছেন বলে জানান। তিনি স্বীকার করেন, এজন্য দুই নেত্রীসহ ( শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া) প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে 'বাজে প্রতিক্রিয়া' আসতে পারে। তবে 'দুঃশাসন আর দুর্নীতির' কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি সত্যিকারের পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পারছেন বলে জানান তিনি। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর সমর্থনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপক পরিবর্তন ও দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির ঠিক এক মাসের মাথায় ইউনূস রাজনৈতিক দল খোলার ঘোষণা দিলে দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়, সামরিক বাহিনীর মদদেই তিনি নাগরিক শক্তি নামের এ দল খোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩ মে দল গড়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন ইউনূস। 'জারদাইনের কাছে ইউনূস বলেন, দেশের শক্তিশালী দুই দলের নেতা শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার কারণে দেশে রাজনীতিতে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এ থেকে পরিত্রাণ পেতে বহু মানুষের অনুরোধের কারণে তিনি রাজনীতিতে নামার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন,' বলা হয় ওই তার বার্তায়। 'ইউনূসের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে কলকাতা চেম্বারের সভাপতি মনোজ মহাঙ্কা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ইউনূসের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে কথা তোলেন। 'এর তাৎক্ষণিক জবাবে ইউনূস বলেন, রাজনীতিতে পা রাখার ঝুঁকি তিনি আঁচ করতে পারছেন। তবে দুঃশাসন আর দুর্নীতির কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি সত্যিকারের পরিবর্তন আনার দায়িত্বশীল কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হবে।' গ্রামীণ ব্যাংকের তৎকালীন প্রধান ইউনূস বাংলাদেশে জরুরি অবস্থা জারির পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, এর মাধ্যমে দেশে একটি সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধ এড়ানো গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওই কূটনীতিককে ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ধর্মীয় মৌলবাদীদের সমর্থন না করলেও প্রভাবশালী দলগুলো রাজনৈতিক স্বার্থেই তাদের সঙ্গে জোট গড়েছে। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে মৌলবাদী দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের (বিকেএম) সঙ্গে আওয়ামী লীগের 'চুক্তি' নিয়েও সমালোচনা করেন তিনি। "এই সমঝোতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নৈতিক ক্ষয় প্রতিফলিত হয়েছে, যা ছিলো অতিরিক্ত কিছু ভোট হাতিয়ে নেওয়ার বিশুদ্ধ রাজনৈতিক সমীকরণ। এবং এটি ছিল তার (ইউনূস) দল গঠনের পরিকল্পনার একটি কারণ কারণ।" প্রসঙ্গ: বন্দর ভোজসভার আলোচনায় আঞ্চলিক বাণিজ্যের স্বার্থে ভারত, মিয়ানমার, ভূটান ও চীনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর উন্মুক্ত করে দেওয়ার পক্ষে মত দেন ইউনূস। আঞ্চলিক প্রয়োজনীয়তা মেটাতে গ্রামীণ ব্যাংক চট্টগ্রামে একটি নতুন 'মেগা পোর্ট' প্রকল্পে অর্থায়নের সম্ভাব্যতা পর্যালোচনা করছে বলেও জানান ইউনূস। বিভিন্ন বিষয়ে ড. ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরে তার বার্তার উপসংহারে বলা হয়, "তিনি একজন উচ্চ নৈতিকতা সম্পন্ন এবং সাংগঠননিকভাবে অত্যন্ত দক্ষ" মানুষ। আর ইউনূসের রাজনীতিতে প্রবেশ হতে পারে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পথ রূদ্ধ করে রাখা 'হাসিনা-খালেদা চক্র' ভাঙার একটি উপায়। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/বিডি/এএল/জিএনএ/২০৩৭ ঘ. হিন্দুতে প্রকাশিত তার বার্তাটি পড়তে ক্লিক করুন |
সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
উইকিলিকসের তথ্য, 'হাসিনা-খালেদা চক্র ভাঙার পথ ইউনূস'
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- মিলনের উর্বর ও নিরাপদ সময়!
- মস্তিস্ক গবেষনায় নতুন তথ্য
- চোখের পানির রহস্য
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাউলদের সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য
Popular Posts Last 7 Days
- গীতা সারাংশ
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- মস্তিস্ক গবেষনায় নতুন তথ্য
- গুগল ও য়েইসবুকের আয়ের উৎস
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- বাউলদের সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- বিশ্বে সবচাইতে মূল্যবান যে ৫টি খাবার!
- The Biggest Water Cube Ever Seen!
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment