সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
৩৪ বছর পর মানুষ আর মরবে না
আর মাত্র ৩৪ বছর বাকি। এরপরই ২০৪৫ সালের পরে মানুষ আর মরবে না। মানুষ হবে অমর। ওই সময়ের মধ্যে কম্পিউটার হবে অতিমাত্রায় বুদ্ধিমান। শুধু বুদ্ধিমানই নয়। মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান। যখন এটা ঘটবে- মানবতা, আমাদের দেহ, মন- এমনকি আমাদের সভ্যতা পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে যাবে। সে অবস্থা থেকে আর পিছনে ফেরা যাবে না। অনলাইন টাইম ম্যাগাজিনে ১০ই ফেব্রুয়ারি ‘২০৪৫: দ্য ইয়ার ম্যান বিকামস ইমরটাল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কম্পিউটার প্রযুক্তি দিনে দিনে দ্রুত থেকে দ্রুতগতির হচ্ছে। এ কথা সবাই জানে। কম্পিউটার দ্রুতগতির হচ্ছে বলে আমাদেরও গতি বাড়ছে। এভাবে কম্পিউটারের গতি বাড়তে বাড়তে এমন এক সময় আসবে যখন তার বুদ্ধিমত্তা মানবজাতির সমান হয়ে যাবে।
একে বলা যেতে পারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এক সময় তা আমাদের সমকক্ষ হয়ে যাবে। এর ফলে শুধু পাটিগণিতই দ্রুততম সময়ে করা যাবে না। এর মাধ্যমে পিয়ানোর মিউজিক কম্পোজ করা যাবে। তা ব্যবহার করে গাড়ি চালানো যাবে। বই লেখা যাবে। নৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। এমন সব হাজারো প্রশ্নের সমাধান দিয়ে দেবে কম্পিউটার। এভাবে কম্পিউটারকে উন্নত করতে করতে এমন একটা পর্যায়ে চলে যাবে যখন সেই কম্পিউটার আমাদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে। তখন একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানীর চেয়ে তারই কম্পিউটার বেশি জানবে। এমন কম্পিউটার অবিশ্বাস্যরকম দ্রুতগতিতে কাজ করবে। মুহূর্তেই তা অসংখ্য ডাটা নিয়ে কাজ করবে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, মানুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান কম্পিটারের আচরণ নিয়ে পূর্বাভাস করা এখন হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু তাকে একদিন আমাদের ব্যক্তির মতো করে দেখতে হবে। তার সঙ্গে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিষয়ে তথ্য শেয়ার করতে হবে।
এসব নিয়ে অনেক তত্ত্ব আছে। হতে পারে একদিন আমরা তাদের সঙ্গে সুপার ইন্টেলিজেন্স সাইবর্গ হিসেবে আবির্ভূত হবো। হতে পারে আমাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের বলিরেখার চিকিৎসা দিতে সাহায্য করবে এবং আমাদেরকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জীবন দেবে। হয়তো আমাদের চেতনা স্ক্যান করে কম্পিউটারের মধ্যে ঢুকিয়ে দেবো। আর এভাবেই ভার্চুয়ালি বা কৃত্রিমভাবে আমরা একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে চিরদিনের জন্য বেঁচে থাকবো। কম্পিউটার হয়তো আমাদের মানবিকতায় রূপ নেবে এবং আমাদের বিলুপ্তি ঘটবে। এমন পরিবর্তনকে বলা হয় সিঙ্গুলারিটি। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, যখন আমরা সিঙ্গুলারিটির কথা বলছি তখন বিষয়টি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মতো মনে হতে পারে। তবে এটা সায়েন্স ফিকশনের একটি পূর্বাভাস ছাড়া কিছু নয়। এটা কোন হাল্কা বিষয় নয়।
এটা আগামীর পৃথিবীর জীবনধারার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব। বুদ্ধিবৃত্তিক অনেক তত্ত্ব আছে সায়েন্স ফিকশনে। তাতে বলা হয় অতিমাত্রায় বুদ্ধিকে একত্রিত করে একটি সাইবর্গ তৈরি করা যায়। কিন্তু সিঙ্গুলারিটি এমন একটি তত্ত্ব, যা সযত্ন বিবর্তনকে নির্দেশ করে। মানুষ আজকাল এই তত্ত্বটি বোঝার জন্য অনেক অর্থ খরচ করছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা প্রতিষ্ঠা করেছে সিঙ্গুলারিটি ইউনিভার্সিটি। এর বয়স এখন তিন বছর। সেখানে গ্র্যাজুয়েট ও নির্বাহীদের ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি কোর্স পড়ানো হয়। এর স্পন্সর হলো গুগল। এর প্রধান নির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ গত বছর এ নিয়ে কথা বলেছেন। এখন মানুষ দলে দলে এ বিষয়ে জানতে চায়। কিন্তু তারা যা জানতে চান, সিঙ্গুলারিটি তার চেয়েও অনেক বেশি। এই ধারণাটিকে যদি প্রতিষ্ঠিত করা যায় তাহলে তা হবে মানব জাতির ভাষা আবিষ্কারের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিঙ্গুলারিটি শব্দটি এসেছে জ্যোতির্বিজ্ঞান থেকে। এটা সময় ও স্থানকে নির্দেশ করে। যেমন একটি ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের ভিতরের অবস্থাকে সিঙ্গুলারিটির সঙ্গে তুলনা করা চলে। সেখানে সাধারণ পদার্থবিদ্যার কোন নিয়মকানুন খাটে না।
সূত্র: মানব জমিন
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Man,
Mysterious,
News,
Report,
Thesis
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- মিলনের উর্বর ও নিরাপদ সময়!
- মস্তিস্ক গবেষনায় নতুন তথ্য
- চোখের পানির রহস্য
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাউলদের সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য
Popular Posts Last 7 Days
- গীতা সারাংশ
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- মস্তিস্ক গবেষনায় নতুন তথ্য
- গুগল ও য়েইসবুকের আয়ের উৎস
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- বাউলদের সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- বিশ্বে সবচাইতে মূল্যবান যে ৫টি খাবার!
- The Biggest Water Cube Ever Seen!
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment