পাপুয়া নিউগিনির বৃষ্টি-অরণ্যে এই খুদে ব্যাঙ আবিষ্কারের দাবি করেছেন একদল মার্কিন বিজ্ঞানী। তাঁরা বলেছেন, এটাই বিশ্বের সবচেয়ে খুদে ব্যাঙ। গত বুধবার এই ব্যাঙ নিয়ে একটি তথ্যসমৃদ্ধ নিবন্ধ মার্কিন বিজ্ঞান সাময়িকী প্লোস ওয়ান-এ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পাপুয়া নিউগিনির বৃষ্টিপ্রধান বনে ক্ষুদ্রতম এই ব্যাঙের সন্ধান মিলেছে। গাঢ় বাদামি রঙের গায়ে কালো ছোপ রয়েছে। এটি ৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার দীর্ঘ, অর্থাৎ এক ইঞ্চির তিন ভাগের এক ভাগের চেয়েও ছোট। গাঢ় বাদামি রঙের এই ব্যাঙের শরীরে সাদাটে নীল ছোপ রয়েছে। ব্যাঙগুলো আড়ালে থাকতে পছন্দ করে। পুরুষ সঙ্গীর ডাক শুনতে পায় এই ব্যাঙ।
প্লোস ওয়ান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, আকারের দিক থেকে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ব্যাঙ হলেও এদের নাম কিন্তু অনেক বড়। এরা সাধারণত ‘প্যাডিওফ্রিন অ্যামাউয়েনসিস’ নামে পরিচিত। পাপুয়া নিউগিনিতেই ‘প্যাডিওফ্রিন সুইফটোরাম’ নামের আরেক জাতের ব্যাঙের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর দৈর্ঘ্য আট মিলিমিটারের চেয়ে একটু বেশি।
ধারণা করা হচ্ছে, প্যাডিওফ্রিন অ্যামাউয়েনসিস নামের খুদে এই ব্যাঙ বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র মেরুদণ্ডী প্রাণীও। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মেরুদণ্ডী প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইন্দোনেশিয়ার এক প্রকার মাছকে। এই মাছ প্যাডোসাইপ্রিস প্রোজেনেটিকা বলে পরিচিত। এই মাছের দৈর্ঘ্য আট মিলিমিটার বা এক ইঞ্চির তিন ভাগের এক ভাগের সমান। এএফপি।
0 comments:
Post a Comment